GHAGOTIA SALAMIA DAKHIL MADRASAH
KAPASIA,GAZIPUR. EIIN : 109315
সাম্প্রতিক খবর

মো: মনিরুজ্জামান
সুপারিনটেনডেন্ট

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

ঐতিহাসিক মহিমায় উজ্জ্বল এক জনপদের নাম কাপাসিয়া। এই মাটি জম্ম দিয়েছে খ্যাতিমান জ্ঞানীগুনী বহুমানুষের। প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, রূপকার বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদের কথা। একই সাথে উল্লেখ করতে হয় মরহুম ফকির আব্দুল মান্নান, তদানীন্তন পাকিস্থান সরকারের সফল খাদ্যমন্ত্রী, মরহুম ফকির সাহাবউদ্দীন আহমেদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল এটর্নী জেনারেল, মরহুম ব্রি: জে: অব: আ.স.ম. হান্নান শাহ, পি.এস.সি মহোদয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল পাটমন্ত্রী ও জনাব আলহাজ্ব রেজাউল হক (তোতা মিয়া) এর মতো উচ্চ মাপের ও প্রশস্ত মনের অধিকারী এবং ধর্মপ্রাণ মহৎ ব্যক্তিত্বের জন্ম এই ঘাগটিয়ায়, আর এই ঘাগটিয়া ইউনিয়ন সদরে এলাকার বিশেষ মহৎ, ধর্মপ্রাণ, বিদ্যোৎসাহী, শিক্ষানুরাগী ও মানবদরদী ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব রেজাউল হক (তোতা মিয়া) লন্ডন প্রবাসী এর সক্রিয় উদ্যোগ ও আর্থিক বনাণ্যতায় ১৯৮৪ইং সালে ঘাগটিয়া ছালামিয়া দাখিল মাদরাসাটি হাটি হাটি পা-পা করে যাত্রা শুরু করে। ধর্মীয় শিক্ষার প্রবল অনুরাগী ঘাগটিয়ার আরো কিছু ব্যক্তি যেমন মরহুম আমির উদ্দিন মাঝি, মরহুম মেজবাহ উদ্দীন, জনাব কাজিম উদ্দিন মাঝি, জনাব আলহাজ্ব ডা: আ: আউয়াল এসব মহান ব্যক্তিদের নিরলস শ্রম আর ব্যাপক উৎসাহের ফলশ্রুতিতে অত্র মাদরাসাটির মান উতরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে আজকের পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছে।

আমি মো: মনিরুজ্জামান ১৯৯০ ইং সালে ঢাকা মুহাম্মদপুর আলিয়া মাদরাসা থেকে হাদীস; ১৯৯১ইং সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে, প্রাইভেট ঢাকা সিদ্ধিস্বরী কলেজ থেকে বি.এ পাস এবং ১৯৯২ইং সালে মাদ্রাসা-ই-আলীয়া, ঢাকা থেকে নিয়মিত তাফসির বিভাগে কামিল পাস করে ৩রা মার্চ ১৯৯৩ইং সালে মালয়েশিয়া একটি রিক্রুটিং এজেন্সিতে অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করে, চাকুরীরত থাকাকালে ১৯৯৫ইং সালে দিবাগত রাত আমার বাবা মরহুম আলহাজ্ব ডা: আক্তারুজ্জামান সাহেবের হাতের লেখা একখানা পত্র আমার হস্তগত হয়। যাতে তিনি স্ব-হস্তে লিখেছিলেন আমি দেশে ফিরে এসে যেন দেশে চাকুরী করি এবং তাঁর নামাজে জানাজা পড়াই। তাঁর উক্ত পত্র পাঠের পর বিলম্ব না করে ১৭মে ১৯৯৫ইং সালে বাংলাদেশে ফিরে আসি।

৩০মে ১৯৯৫ইং জনাব আলহাজ্ব আবুল ফজল রেজাউল হক (তোতা মিয়া) সাহেবের অনুরোধে তাঁর মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত রহিমা খাতুন বালিকা দাখিল মাদরাসার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করি; কিন্তু মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হওয়ার সকল প্রকার চাহিদা পূরণ করা হলেও কাপাসিয়াতে নতুন মাদরাসা অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় একাডেমিক স্বীকৃতিও পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে জনাব আলহাজ্ব আবুল ফজল রেজাউল হক (তোতা মিয়া) সাহেবের পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই ঘাগটিয়া ছালামিয়া দাখিল মাদরাসাটিতে সুপারিনটেনডেন্ট এর পদ খালি হলে ২৭ জুন, ১৯৯৭ ইং সালে মহান আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবাণীতে দ্বীনের খাদেম হিসেবে অত্র দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ঘাগটিয়া ছালামিয়া দাখিল মাদরাসাটিতে সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে যোগদান করি।

তারপর থেকে অদ্যাবধি নিরলস শ্রম ও সাধনায় বহু ঘাত প্রতিঘাত ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনগনের সহযোগিতায় মাদরাসাটির মান উন্নয়ন সহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে কাপাসিয়া উপজেলার একটি স্বনামধন্য মাদরাসা হিসেবে দাঁড় করাবার গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। আমি অত্যান্ত শ্রদ্ধবনতভাবে স্বরণ করছি এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর সু-যোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনাকে এই জন্যে যে, তিনি বিগত ২০০৯ ইং সালে বেসরকারী মাদরাসার সভাপতি তখনকার থানা নির্বাহী কর্মকর্তা, এর স্থলে স্থানীয় নেতৃস্থানীয়, বিদ্যানুরাগী, ব্যক্তিগণকে সভাপতি বানানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। আর এর সুযোগে অত্র মাদরাসাটির ভাঙ্গা পাল হতে তুলে নিয়েছেন, এলাকার কৃতি সন্তান যার রয়েছে অগাদ প্রজ্ঞা, ধর্মের প্রতি অনুরাগ গরিব দু:খী শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রাণভরা ভালবাসা। এমনি শতগুণে ভরপুর জনাব কাজী আহসান উল্লাহ এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, ঢাকা। তার দেওয়া প্রেরণা, পেষনা- উদ্দীপনায় অত্র মাদরাসাটিকে শিক্ষার মান ও সার্বিক অবকাঠামোর দিক থেকে কাপাসিয়া উপজেলায় একটি আদর্শ মাদরাসা হিসেবে দাঁড় করানোর মত কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি মহান আল্লাহ পাকের দরবারে অত্র মাদরাসার সার্বিক উন্নয়নের ফুয়ারা এবং একটি আদর্শ মাদরাসা হিসেবে কাল কিয়ামত পর্যন্ত জারি রাখুন এই কামনা করছি।

আমিন।